রাজধানীর প্রবেশদ্বার বলা হয় টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনকে। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী এই স্টেশনের মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তে যাতায়াত করেন। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনটি এখন পরিণত হয়েছে মাদক ব্যবসার প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে। বিশেষ করে টঙ্গী গ্যারান্টি বস্তি সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে মাদকের আস্তানা, যেখানে প্রতিনিয়ত কোটি টাকার লেনদেন চলছে। মাদক ব্যবসায় পুলিশের যোগসাজশ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালী কিছু পরিবার ও চক্র দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা শুধু স্থানীয় প্রভাবই নয়, আর্থিক প্রলোভনের মাধ্যমেও রেলওয়ে পুলিশ এবং টঙ্গী পূর্ব থানার একাধিক কর্মকর্তাকে “ম্যানেজ” করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিপুল অর্থের বিনিময়ে এসব কর্মকর্তা চোখ বুজে থাকেন বা সরাসরি মাদক সম্রাটদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন। ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাম থাকলেও কার্যত মাদক সম্রাটদের জন্য নিরাপত্তা ঢাল হিসেবেই কাজ করছে কিছু অসাধু কর্মকর্তা। অপরাধের ঘাঁটিতে পরিণত হচ্ছে স্টেশন এলাকা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় মাদকের পাশাপাশি বেড়ে গেছে ছিনতাই, চুরি ও দস্যুবৃত্তি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর স্টেশনের ভেতরে-বাইরে যাত্রীদের টার্গেট করে সক্রিয় হয় ছিনতাইকারীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ছিনতাইকারীরাও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় কাজ করছে। ফলে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, আর একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে এই এলাকায়। রোগী ও সাধারণ যাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছেন না স্টেশনে আসা-যাওয়া করা অসংখ্য যাত্রী এবং বিভিন্ন হাসপাতালে যেতে আসা রোগীদের কাছ থেকেও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সুযোগ বুঝে দুষ্কৃতকারীরা তাদের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে। অথচ এসব ঘটনার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত বা দমন কার্যক্রম এখনো কার্যকর হয়নি। করণীয় দ্রুত অভিযানে নামতে হবে: স্টেশন ও আশেপাশের বস্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেপ্তার করতে হবে। পুলিশের ভেতরে শুদ্ধি অভিযান: যেসব কর্মকর্তা সরাসরি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে বরখাস্ত ও বিচারের আওতায় আনা জরুরি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: ছিনতাই-চাঁদাবাজি রোধে বিশেষ টহল দল গঠন করতে হবে এবং রাতের বেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন জরুরি। টঙ্গী রেলস্টেশন শুধু একটি যাতায়াত কেন্দ্র নয়, এটি একটি জাতীয় গুরুত্বের যোগাযোগের স্থান। এখানে যদি মাদক ও অপরাধের রাজত্ব চলতে থাকে, তবে রাজধানী ঢাকার গেটওয়ে পুরো জাতির জন্যই হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এবং টঙ্গী রেলস্টেশনের চক্করে চোরাই জুতার মার্কেটে চলছে চরম চোড়াই জুতা বিক্রয় এবং পাশে থাকা আবাসিক হোটেল গুলো চলছে অসামাজিক কার্যক্রমে মেয়েদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসা নতুন আরও অসামাজিক কার্যক্রম এ দেখা যায় সকলেই এখন দেখা যাচ্ছে সকলেই সত্যে এবং সুন্দর সামাজিক সুন্দর ভবিষ্যৎ সুন্দর মানুষ হওয়ার জন্য মুখে পর থেকে তাদের মোটা মোটা কথা বলে যায় কিন্তু টাকার কাছে সকলে আবার বিক্রি হয়ে যাচ্ছে তাহলে কি প্রতিকার কি হবে না মাদকের সংস্কার হবে না ছিনতাই তো ভয়াবহ ঘটনা দুর্ঘটনা, আলোকিত নিউজ অনলাইন।